
মুখোশের আড়ালে – শান্তির সাজানো দৃশ্য
সমাজ অনেকটা নাট্যমঞ্চের মতো।
মঞ্চে সুন্দর আলো, সাজানো পটভূমি, হাসি আর করতালির শব্দ—সবকিছু ঝকঝকে।
কিন্তু মঞ্চের পর্দার আড়ালে থাকে অন্য এক বাস্তবতা—অগোছালো, বিশৃঙ্খল এবং প্রায়শই অন্ধকার। আমাদের সমাজও এর ব্যতিক্রম নয়।
শান্তির অভিনয়
- রাস্তায় বড় কোনো সংঘর্ষ নেই
- মানুষ হাসিমুখে কথা বলছে
- সরকার উন্নয়নের গল্প বলছে
কিন্তু এই ‘শান্তি’ অনেক সময় একটি অভিনয়, যা শুধু উপরের স্তরে দেখা যায়।
অদৃশ্য চাপা অশান্তি
- ন্যায় বিচার পাওয়া কঠিন
- চাকরির জন্য যোগ্যতার চেয়ে সুপারিশ প্রয়োজন
- সত্য বললে শাস্তি বা হয়রানির ভয়
উদাহরণ: আব্দুল্লাহ আল মামুনের মতো একজন সৎ মানুষ হয়তো বাইরে হাসি মুখে থাকেন, কিন্তু অফিসের ভেতরে অনৈতিক চাপে প্রতিদিন লড়াই করতে হয়।
শান্তির মুখোশ কেন দরকার?
- অর্থনৈতিক স্বার্থ: বিনিয়োগকারী বা পর্যটকদের আকর্ষণ করতে।
- রাজনৈতিক প্রভাব: সরকার বা ক্ষমতাশালীদের ভাবমূর্তি রক্ষা করতে।
- সামাজিক মর্যাদা: সমস্যা স্বীকার করলে ‘দুর্বল’ বলে গণ্য হওয়ার ভয়।
মুখোশের বিপদ
- সমস্যার সমাধান হয় না, বরং গভীর হয়
- মানুষের ধৈর্য ফুরিয়ে যায়
- এক সময় হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে, যা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়
সত্য দেখার সাহস
শান্তির সাজানো দৃশ্য দেখে সন্তুষ্ট না থেকে, পর্দার আড়ালে কী ঘটছে তা খুঁজে বের করা জরুরি।
উদাহরণ: যেমন, আব্দুল্লাহ আল মামুন যদি দেখেন একটি এলাকায় অপরাধ কমেছে বলে ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে, তাঁকে খুঁজে বের করতে হবে—এটি আসলেই অপরাধ কমা নাকি কেবল রিপোর্টে কম দেখানো।
Join the conversation