জরুরি সংবাদ পাঠান: info@dailytotthotorongo.com আপনার এলাকার চোখ ও কান হতে পারেন! আপনার কাছ থেকে আসা প্রতিবেদন আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। ছবি, ভিডিওসহ আপনার সংবাদ পাঠান — আমরা মনোযোগ দিয়ে যাচাই-বাছাই করব এবং যে গুলো প্রকাশ যোগ্য সে গুলো প্রকাশ করবো। আসুন, একসাথে সত্যিকার অর্থে মানুষের কণ্ঠস্বর হয়ে উঠি। ✉️ ই-মেইল করুন: info@dailytotthotorongo.com

জনগণ যেখানে নিপীড়িত, সেখানে পুলিশের পাহারা ৩২-এ—রাষ্ট্রের অগ্রাধিকার কোনটা?

বাংলাদেশে জনগণের টাকায় চলা পুলিশের আচরণ নিয়ে তীব্র প্রশ্ন ২৪ পরেও কেন নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর হামলা? ধানমন্ডি ৩২ পাহারার বৈধতা কোথায়?
প্রকাশ: 11/19/2025 02:39:00 pm

দৈনিক তথ্য তরঙ্গ

সত্যের পথে নির্ভীক সংবাদ

পুলিশ ও জনগণ

জনগণের টাকায় সরকারের চাকরি—তাহলে পুলিশের লাঠি জনগণের গায়েই পড়বে কেন? জবাব চাই, এখনই চাই

বাংলাদেশের মানুষ আজ একটি প্রশ্নের সামনে দাঁড়িয়ে
এই রাষ্ট্র যাদের করের টাকায় চলে, সেই রাষ্ট্র আজ কার জন্য কাজ করছে? জনগণের জন্য, নাকি বিশেষ কোনো ঠিকানার জন্য?

২৪ এর গণআন্দোলনের পর দেশের মানুষ ভেবেছিল
এবার পুলিশ হবে জনগণের সহযোগী।
এবার পুলিশ দাঁড়াবে জনগণের পাশে,
কারণ দেশের মালিক জনগণ

এই সহজ সত্যটা স্বীকার করার সময় তো অনেক আগেই এসেছে।

কিন্তু বাস্তব কী?

আজ দেখা যাচ্ছে, নিরস্ত্র ছাত্র, সাধারণ তরুণ, যারা অন্যদের থামিয়ে বলছে
"পুলিশকে আঘাত কোরো না"
সেই ছেলেটিকেই পুলিশ ঘিরে এমনভাবে পেটাচ্ছে যেন সে রাষ্ট্রের শত্রু!

প্রশ্ন উঠছে
এটা কি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নাকি রাগে অন্ধ হয়ে যাওয়া ক্ষমতার পাহারাদার বাহিনী?

জনগণ জানতে চায়
যে ছেলে নিজেরাই পুলিশকে সম্মান দেওয়ার চেষ্টা করেছে, তাকে কুকুরের মতো পেটানোর অধিকার কে দিল?
কার নির্দেশে পেল?
কিসের ভিত্তিতে পেল?

যাদের বেতন চলে আমাদের ট্যাক্সের টাকায়,
যাদের ইউনিফর্ম জনগণের ঘাম রক্তে কেনা,
তারা যদি জনগণকেই পেটায়
তাহলে এই ব্যবস্থাকে কি রাষ্ট্র বলা যায়?

ধানমন্ডি ৩২  জনগণের অনুমতি ছাড়া কার স্বার্থে পাহারা?

আজকে আরেকটি বড় প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছে পুরো জাতি
জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া, জনগণ যেটা চায় না, সেই ৩২ নম্বর ঠিকানাকে পুলিশ কেন পাহারা দেবে? কোন ভিত্তিতে দেবে?

ধানমন্ডি ৩২ কার?
রাষ্ট্রের?
নাকি কিছু লোকের ব্যক্তিগত আবেগের স্থান?

এটা কি জনগণের চাইতে বড় কোনো প্রতিষ্ঠানের নাম?
জনগণ যেখানে নিপীড়িত, আহত, নিহত
সেখানে পুলিশের প্রথম কাজ জনগণকে রক্ষা করা,
কোনও ঠিকানার পাহারা নয়।

জনগণ প্রশ্ন তুলছে
৩২ আগে, নাকি দেশের ১৮ কোটি মানুষ আগে?
এই প্রশ্নের উত্তর সরকারকে দিতে হবে।
পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।

স্বৈরাচার পতনের পর পুলিশের দায়িত্ব কী ছিল?

হাসিনা পতনের পর দেশ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে

এটাই ছিল জনগণের প্রত্যাশা।
কিন্তু আজকের পুলিশের আচরণ দেখলে মনে হয়
স্বৈরাচার গেলেও স্বৈরাচারী মানসিকতা পুলিশ বাহিনীর একাংশের মাথা থেকে যায়নি।

যাদের কাজ ছিল শান্তি ফিরিয়ে আনা,
তাদেরকে দেখা যাচ্ছে নিজেদের সুবিধা কমে যাওয়ার ক্ষোভ নিয়ে মানুষকে চড়াও হতে।

এই প্রশ্ন এড়ানো যাবে না
পুলিশ কি রাষ্ট্রের? নাকি ঘুষের স্বর্গ ভেঙে যাওয়ার রাগে নিজেদের জনগণের উপর ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে?

জনগণের প্রতি সরকারের দায়বদ্ধতা ভুলে গেলে চলবে না

সরকারকে মনে রাখতে হবে
জনগণ এই দেশের মালিক।
জনগণ ট্যাক্স দেয়।
সেই ট্যাক্সেই সরকার চলে।
সেই ট্যাক্সেই পুলিশের বেতন হয়।
সেই ট্যাক্সেই গাড়ি, গুলি, ইউনিফর্ম কেনা হয়।

তাহলে জনগণের ছেলেকে পেটানোর অধিকার কারো নেই
না পুলিশের,
না সরকারের।

এ কারণে আমরা জিজ্ঞেস করছি
কেন পিটিয়েছে? কার নির্দেশে পিটিয়েছে? তার অপরাধ কী ছিল?
এই প্রশ্নের জবাব দিতেই হবে সরকারকে।

শেষ কথা  জনগণের সহ্যের সীমা আছে, এবং সেই সীমা অতিক্রম করা রাষ্ট্রের জন্য বিপজ্জনক

বাংলাদেশের মানুষ কোনো অরাজকতা চায় না।
তারা চায় ন্যায়বিচার।
সম্মান।
নিরাপত্তা।
যাদের লাঠি জনগণের নিরাপত্তার জন্য
তারা যদি সেই লাঠি জনগণের পিঠে তোলে, তবে বিশ্বাস ভেঙে যাবে।

সরকারের এখনো সময় আছে
নিজের চাকরদের নয়, দেশের মালিকদের কথা শুনুন।
কারণ এই দেশের মালিক জনগণ, আর জনগণের ক্ষোভ কখনো ছোট করে দেখবেন না।

⚠️ জরুরি প্রশ্ন

  • কেন পুলিশ নিরস্ত্র ছাত্রদের ওপর লাঠিচার্জ করছে?
  • কার নির্দেশে এই সহিংসতা?
  • ধানমন্ডি ৩২-এর পাহারা দেওয়ার আইনি ভিত্তি কী?
  • জনগণের ট্যাক্সের টাকায় কেন জনগণকেই পেটানো হবে?

এই প্রতিবেদনটি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার ও সম্মান রক্ষার জন্য লেখা হয়েছে। আমরা আশা করি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জনগণের এই জিজ্ঞাসার সঠিক ও সময়োপযোগী উত্তর দেবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

আমি আপনাকে কিভাবে সাহায্য করতে পারি?
Type here...
-->