
সমাজের আত্মপরিশোধন: ন্যায় প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ পথ
লিখেছেন: মাইন উদ্দিন
সমাজ একটি জীবন্ত সত্তা। যেমন মানুষের শরীর অসুস্থ হলে চিকিৎসা প্রয়োজন হয়, তেমনি সমাজ অসুস্থ হলে তারও চিকিৎসা দরকার হয়। কিন্তু এই চিকিৎসা তাত্ক্ষণিক নয়—এটি ধীর, জটিল এবং প্রায়ই বেদনাদায়ক প্রক্রিয়া।
এই প্রক্রিয়াকেই আমরা বলি আত্মপরিশোধন।
অন্যায়ের সীমা
অন্যায় অনেক সময় দীর্ঘদিন ধরে সহ্য করা হয়, কারণ মানুষ অভ্যস্ত হয়ে যায়। কিন্তু ইতিহাস বলে, অন্যায় যখন তার চরম সীমায় পৌঁছে যায়, তখন সমাজের ভেতরেই একটি অদৃশ্য প্রতিক্রিয়া শুরু হয়।
“আমরা কি সত্যিই এইভাবে বাঁচতে চাই?”
যেমন, যদি বহু বছর ধরে কোনো প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি চলতে থাকে, এক সময় কিছু সাহসী কর্মী (যেমন আব্দুল্লাহ আল মামুন) উঠে দাঁড়ায় এবং সিস্টেম বদলের দাবিতে আওয়াজ তোলে।
আত্মপরিশোধনের উপাদান
সমাজ নিজের ভুল শোধরাতে যেসব শক্তি কাজে লাগায়:
- সচেতনতা: মানুষ যখন বুঝতে পারে যে সমস্যাটি তাদের সবার জীবনে প্রভাব ফেলছে।
- সাহসী নেতৃত্ব: কেউ যখন নিজের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে অন্যদের জন্য লড়ে।
- জনসমর্থন: একবার মানুষ বিশ্বাস করলে, তারা ঐক্যবদ্ধ হয়।
- প্রমাণ ও সত্য প্রকাশ: লুকানো অন্যায়ের মুখোশ খুলে দেওয়া।
ধীরগতি হলেও নিশ্চিত পরিবর্তন
আত্মপরিশোধন দ্রুত হয় না, কারণ সমাজের গভীরে থাকা সমস্যাগুলোকে শিকড় থেকে কেটে ফেলা কঠিন।
কিন্তু ধীরে ধীরে, দুর্নীতিবাজরা একে একে পরাজিত হয়। মানুষ সত্য ও ন্যায়ের দিকে ঝুঁকে যায়। নতুন প্রজন্ম পুরনো ভুল পুনরাবৃত্তি না করার শপথ নেয়।
ব্যক্তি থেকে সামষ্টিক পরিবর্তন
একজন মানুষের সততা অন্যদের প্রভাবিত করে, আর অনেক মানুষের সম্মিলিত সততা সমাজের রোগ সারাতে সক্ষম হয়।
যেমন, যদি আব্দুল্লাহ আল মামুন নিজের জীবনে সৎ থেকে তার বন্ধু, পরিবার ও সহকর্মীদের প্রভাবিত করেন, তাহলে একসময় এই ছোট্ট সততার বৃত্ত বড় হয়ে পুরো সমাজকে ছুঁয়ে যাবে।
ন্যায় প্রতিষ্ঠার দীর্ঘ পথ
ন্যায় প্রতিষ্ঠা কোনো একদিনের ঘটনা নয়—এটি এক চলমান যাত্রা।
আজ যদি সমাজ ভুল সংশোধন করে, কালও নতুন চ্যালেঞ্জ আসবে। তাই আত্মপরিশোধনের প্রক্রিয়া একবার শুরু হলে সেটি ধরে রাখা জরুরি, নইলে পুরনো অন্ধকার আবার ফিরে আসবে।
সমাজের আত্মপরিশোধন হলো এক ধরনের পুনর্জন্ম। এটি প্রমাণ করে যে, যতই অন্ধকার গভীর হোক না কেন, মানুষের ভিতরে থাকা ন্যায়ের শিখা নিভে যায় না।
শুধু প্রয়োজন কয়েকজন সাহসী মানুষের, যারা সেই শিখাকে আবার প্রজ্বলিত করবে—যেমন আব্দুল্লাহ আল মামুনের মতো একজন মানুষও হতে পারে সেই শুরুর আলো।
লিখেছেন:-» মাইন উদ্দিন।
Join the conversation