
লিখেছেন: মাইন উদ্দিন
সমাজের পরিবর্তন সবসময় বড় জনসমাবেশ দিয়ে শুরু হয় না। অনেক সময় একটি সৎ সিদ্ধান্ত, একটি দৃঢ় উচ্চারণ বা একটি ছোট্ট উদ্যোগই বিশাল পরিবর্তনের বীজ রোপণ করে।
প্রশ্ন হলো—একজন সাধারণ মানুষ কীভাবে এই পরিবর্তনের সূচনা করতে পারে?
নিজের অবস্থান নির্ধারণ
প্রতিরোধের প্রথম ধাপ হলো নিজের অবস্থান স্পষ্ট করা। যদি একজন মানুষ নিজের মনে ঠিক করে নেন—
“আমি অন্যায় করব না, আর অন্যকে করতেও দেব না।”
তাহলেই তার চারপাশে এক ধরনের অদৃশ্য সীমারেখা তৈরি হয়, যা তাকে প্রলোভন ও চাপ থেকে রক্ষা করে।
আব্দুল্লাহ আল মামুন যদি নিজের কর্মস্থলে সবার সামনে ঘোষণা করেন,
“আমি কোনো ধরনের ঘুষ বা অনৈতিক কাজে অংশ নেব না।”
তাহলে অনেকে প্রথমে হাসবে, কিন্তু পরে তার উপর চাপ দেওয়ার সাহস করবে না।
ছোট থেকে শুরু করা
পরিবর্তন সবসময় ছোট ছোট পদক্ষেপে শুরু হয়:
- একজন পথচারীকে নিরাপদে রাস্তা পার হতে সাহায্য করা
- বাজারে কেউ ঠকাচ্ছে দেখলে প্রতিবাদ করা
- অন্যের কষ্টে কান পেতে শোনা
এই ছোট কাজগুলো মানুষের মধ্যে বিশ্বাস তৈরি করে, আর সেই বিশ্বাস থেকেই বড় আন্দোলনের জন্ম হয়।
উদাহরণ সৃষ্টি
মানুষ কথা শোনার চেয়ে উদাহরণ দেখে বেশি শেখে।
যদি আব্দুল্লাহ আল মামুন সততার সাথে কাজ করে বারবার প্রমাণ করেন যে সৎ থেকেও সফল হওয়া যায়, তবে আশেপাশের অনেকেই তার পথ অনুসরণ করবে।
একজন মানুষ যখন অন্যদের সামনে নিজের কাজের মাধ্যমে প্রমাণ রাখেন, তখন তার কথা আলাদা শক্তি পায়।
প্রভাব বিস্তার
প্রতিরোধ শুধু শত্রুর মুখোমুখি দাঁড়ানো নয়, বরং ভালো প্রভাব ছড়ানোও।
সত্য, ন্যায়, দয়া—এই মূল্যবোধগুলো অন্যদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারলেই খারাপ প্রভাব দুর্বল হয়।
বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনায় সৎ উদাহরণ শেয়ার করা, সামাজিক মাধ্যমে ইতিবাচক গল্প পোস্ট করা—এগুলো ছোট কাজ হলেও প্রভাব গভীর।
সাহসের চেইন রিঅ্যাকশন
একজন সাহসী মানুষের কাজ অন্যদেরও সাহস জোগায়।
আজ যদি আব্দুল্লাহ আল মামুন অফিসে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন, হয়তো কাল তার সহকর্মীও সাহস পাবে, আর এভাবে সাহসের ঢেউ ছড়িয়ে পড়বে।
সমাজের অন্ধকারে একজন মানুষের আলো তেমন উজ্জ্বল মনে না হলেও, সেই আলোই আরেকটি আলো জ্বালায়, আর সেই আলো আবার আরেকটি।
একটি মোমবাতি দিয়ে যেমন অসংখ্য মোমবাতি জ্বালানো যায়, তেমনি একজন সৎ ও সাহসী মানুষের কাজ দিয়ে পুরো সমাজের দিক বদলে দেওয়া যায়।
লিখেছেন:» মাইন উদ্দিন।
Join the conversation