বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললো ভারত
বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে অবশেষে মুখ খুললো ভারত
চলতি বছরের ১২ জুন ভারতের আহমেদাবাদে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত নিয়ে অবশেষে মুখ খুলেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। এ দুর্ঘটনায় এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিধ্বস্ত হয়, এবং এতে পাইলটসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। ঘটনার পরপরই আন্তর্জাতিক মহল ও জাতিসংঘের বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা (ICAO) স্বচ্ছ তদন্তের আহ্বান জানায়।
ICAO তদন্তকারীর প্রবেশে 'না' ভারতের
জাতিসংঘের ICAO থেকে পাঠানো একজন পর্যবেক্ষককে ভারতের তদন্তে যুক্ত হতে দেওয়া হয়নি। ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা ICAO-এর কোনো সহায়তা চায়নি, এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী ভারত নিজেই তদন্ত পরিচালনা করতে সক্ষম। ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আইনগত ও কারিগরি দিক থেকে এটি সম্পূর্ণ স্বচ্ছভাবে করা হচ্ছে।
ব্ল্যাক বক্স আছে ভারতের হাতেই
ঘটনার পর গুঞ্জন উঠেছিল যে, বিধ্বস্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্স (ককপিট ভয়েস রেকর্ডার ও ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার) বিদেশে পাঠানো হয়েছে। তবে ভারতের বেসামরিক বিমান চলাচলমন্ত্রী স্পষ্ট জানান, ব্ল্যাক বক্স দেশের মাটিতেই রয়েছে এবং এটি রাজধানী দিল্লির এয়ারক্রাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরো (AAIB)-এর ল্যাবে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের NTSB এবং GE Aerospace এর সহায়তায় তথ্য ডাউনলোড এবং বিশ্লেষণ করা হয়েছে। প্রায় দুই সপ্তাহের মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন হয়।
প্রাথমিক প্রতিবেদন জুলাইয়ের মধ্যেই
ভারত সরকার জানিয়েছে, বিধ্বস্তের কারণ উদঘাটনে সব ধরনের তথ্য বিশ্লেষণ চলছে। নিয়ম অনুযায়ী ৩০ দিনের মধ্যে প্রাথমিক প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা থাকায়, আশা করা হচ্ছে আগামী জুলাই মাসের মধ্যেই এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে।
আন্তর্জাতিক চাপ, স্বচ্ছতার প্রতিশ্রুতি
ICAO'র তদন্তকারী প্রবেশে বাধা দেওয়ায় আন্তর্জাতিক মহলে কিছুটা প্রশ্ন উঠেছে ভারতের স্বচ্ছতা নিয়ে। তবে ভারত বরাবরের মতো বলছে, তারা ICAO-র সকল বিধিমালা মেনেই কাজ করছে এবং এই দুর্ঘটনা নিয়ে কোনো কিছুই গোপন রাখা হচ্ছে না।
ঘটনার সময়রেখা
বিমানের ইঞ্জিন প্রস্তুতকারক GE-র যুক্ততা
উল্লেখ্য, বিধ্বস্ত হওয়া বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানের ইঞ্জিন প্রস্তুত করেছিল GE Aerospace। তারাও এই দুর্ঘটনা বিশ্লেষণে ভারতের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত রয়েছে।
No comments