মার্কিন হামলা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে মাত্র কয়েক মাস পিছিয়েছে
"মার্কিন হামলা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে মাত্র কয়েক মাস পিছিয়েছে"
পেন্টাগন ও গোয়েন্দা সূত্রে ফাঁস হওয়া রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর দাবি

■ পেন্টাগন ও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন ফাঁস
■ ইরান ১-২ মাসের মধ্যে পুনরায় কার্যক্রম শুরু করতে পারে
■ ট্রাম্পের "সম্পূর্ণ ধ্বংস" দাবির সাথে সরাসরি বৈপরীত্য
■ জাতিসংঘে মার্কিনিরা পাঠানো প্রতিবেদনে স্বীকারোক্তি
ওয়াশিংটন/তেহরান: মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন এবং অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন অনুযায়ী, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে সাম্প্রতিক হামলা তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে মাত্র কয়েক মাস পিছিয়েছে। বুধবার (২৫ জুন) ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স তিনটি বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে।
পেন্টাগনের প্রধান গোয়েন্দা শাখা 'প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা' (ডিআইএ) এই মূল্যায়ন প্রস্তুত করেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের ১৮টি গোয়েন্দা সংস্থার অন্যতম। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান:
"ইরানের পুনরুদ্ধার ক্ষমতা আমাদের অনুমানের চেয়ে বেশি। তারা আগামী ৪৫-৬০ দিনের মধ্যে সমালোচনামূলক কার্যক্রম পুনরায় শুরু করতে পারে। ফোর্ডো স্থাপনার ক্ষতি সারিয়ে তুলতে তাদের ৩-৪ মাস লাগবে।"
এই মূল্যায়ন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যের সাথে স্পষ্ট সাংঘর্ষিক, যিনি গত সপ্তাহে দাবি করেছিলেন:
"আমাদের বি-২ স্টিলথ বোমারু বিমান থেকে ১৪টি বাঙ্কার-বিধ্বংসী বোমা নিখুঁতভাবে ফেলা হয়েছে। ইরানের পারমাণবিক স্বপ্ন এখন ধূলিসাৎ!"
- ডোনাল্ড ট্রাম্প, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট
মঙ্গলবার (২৪ জুন) জাতিসংঘে পাঠানো এক গোপন নথিতে ট্রাম্প প্রশাসন স্বীকার করেছে যে হামলায় ইরানের কর্মসূচির "কিছু অংশ" ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই বক্তব্য:
- ■ ট্রাম্পের পূর্ববর্তী দাবির চেয়ে অনেক বেশি সংযত
- ■ ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত মাত্রা সম্পর্কে নতুন প্রশ্ন উত্থাপন করেছে
- ■ ইরানের পুনরুদ্ধার ক্ষমতাকে স্বীকৃতি দেয়
বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন যে স্যাটেলাইট চিত্রে ভূগর্ভস্থ স্থাপনার প্রকৃত ক্ষতি নিরূপণ কঠিন:
তেহরান এই হামলাকে "আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন" হিসেবে নিন্দা করেছে:
"আমাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ ছিল এবং থাকবে। এই আক্রমণ শুধু আমাদের অধিকারের উপরই নয়, সমগ্র পরমাণু অপ্রসারণ চুক্তির উপর আঘাত।"
- ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ড. ফারহান খানের মতে:
"এই ঘটনা ইরান-মার্কিন উত্তেজনা নতুন মাত্রা দিয়েছে। যদি ইরান দ্রুত পুনরুদ্ধার করে, তাহলে ওয়াশিংটন নতুন করে সামরিক কর্মকাণ্ডের দিকে ঝুঁকতে পারে। এটি পুরো অঞ্চলের জন্য বিপজ্জনক টার্নিং পয়েন্ট।"
No comments